Bay it

Socialcashking.com

Tuesday, August 28, 2012

বাউ ড্রাগন ফলের চাষ করুন

বাউ ড্রাগন ফলের চাষ করুন
পুষ্টি ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তায় অবদান রাখুন

ভূমিকাঃ
ড্রাগন ফলের  ইংরেজী নাম: Dragon fruit; বৈজ্ঞানিক নাম: Hylocereus undatus - এর উৎপত্তিস্থল সেট্রাল আমেরিকা। সেন্ট্রাল আমেরিকাতে এ ফলটি প্রবর্তন করা হয় এয়োদশ শতাব্দীতে। দণি এশিয়া বিশেষ করে মালেশিয়াতে এ ফলের প্রবর্তন করা হয় বিংশ শতাব্দীর শেষে। তবে ভিয়েতনামে এ ফল সর্বাধিক বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়। তবে বর্তমানে এ ফলটি মেঙিকো, সেন্ট্রাল ও দণি আমেরিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দণি চীন, ইসরাইল, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বাংলাদেশেও চাষ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত অনেকগুলো বিদেশী ফল প্রর্বতন করা হচ্ছে। তার মধ্যে এ্যাভোকেডো, ম্যাঙ্গোঁস্টিন, স্ট্রবেরী, কিউই, রাম্বুটান, লংগান, ল্যাংসাট, ব্রেড ফ্রুট, জাবাটিকাবা, শান্তল, পীচফল, ফ্রুট এবং ডুরিয়ান অন্যতম। এদের মধ্যে কিউই ও  ডুরিয়ান ছাড়া প্রায় সব ফলই এদেশে কমবেশী হচ্ছে এবং কোন কোনটা থেকে আশানুরূপ ফলন পাওয়া যাচ্ছে। যা দেখে অনেকে এসব ফলের বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করার চিন্তা-ভাবনা করছে। ল করা যাচ্ছে যে , এদেশের অনেক জায়গাতেই বিশেষ করে উত্তর বঙ্গ ও ময়মনসিংহে বাণিজ্যিকভাবে স্ট্রবেরী চাষ করা হচ্ছে। এছাড়া বিদেশী ফলগুলোর মধ্যে ড্রাগন ফলের চাষ সম্ভাবনাময়। গবেষকরা মনে করেছেন অচিরেই এ ফলটি এদেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশে এ ফল ২০০৭ সালে প্রথম প্রবর্তন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাউ জার্মপ্লাজম সেন্টার। এ সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর ড. এম. এ রহিম এ ফলের জাত নিয়ে আসেন থাইল্যান্ড, ফোরিডা ও ভিয়েতনাম থেকে। এখন এ সেন্টার থেকে এ ফলটি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য বংশ বিস্তার করা হচ্ছে।

পুষ্টি মূল্যঃ
সব ধরনের ডায়েটের জন্য এ ফলটি উপযুক্ত। এ ফল শরীরের জন ফাইবার সরবারহ করে যা পেটের পীড়া এবং লিভার এর জন্য উত্তম। খাবারের পর ডেজার্ট হিসাবে পূর্ব ও দণিপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে এ ফল খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এ ফলটি প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি, মিনারেল এবং উচ্চ ফাইবার যুক্ত। জুস তৈরিতে জন্যও ফলটি অত্যন্ত উপযোগী। প্রতি ১০০ গ্রাম ফলে ফাইবার ০.৯ গ্রাম, ফ্যাট ০.৬১ গ্রাম, এ্যাশ ০.৬৮ গ্রাম, ক্যারোটিন ০.০১২ গ্রাম, পানি ৮৩.০ গ্রাম, ফসফরাস ৩৬.১ মি. গ্রাম, এসকোরবিক এসিড ৯.০ মি. গ্রাম, প্রোটিন ০.২২৯ গ্রাম, রিবোফাবিন ০.০৪৫ মি. গ্রাম, ক্যালসিয়াম ৮.৮ গ্রাম, নায়াসিন ০.৪৩০ মি. গ্রাম, ও আয়রন ০.৬৫ মি. গ্রাম থাকে। খাদ্যমানের প্রাচুর্যের জন্য হয়তোব এ ফল উৎপাদনকারী দেশগুলোতে প্রতিবেলার খাবারের সাথে এ ফল না থাকলে যেন তাদের কাওয়া অপূর্ণ থেকে যায়। ড্রাগন ফল দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও মনোমুগ্ধকর। এমন কথা প্রচলিত আছে যে, একটি তাজা ফল খেয়ে মানব শরীরকে সতেজ ও সুস্থ রাখা যায়। যে সমস্ত মানুষ ডায়াবেটিক রোগে ভোগেন তারা এ ফল খেয়ে শরীরের রক্তের গ্লুকোজকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। ফ্রেশ ফলের চেয়ে শুষ্ক ফল বেশ কার্যকরী। এ ফল সালাদের সাথেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

রাতের রাণি ড্রাগন ফুলঃ
ড্রাগন ফল ক্যাকটাস গোত্রের একটি ফল। গাছ দেখে সবাই  একে চির সবুজ  ক্যাকটাস বলেই মনে করেন। এশিয়ার মানুষের কাছে এ ফল অনেক জনপ্রিয়, হালকা মিষ্টি-মিষ্টি। এ ফলকে ড্রাগন ফল ছাড়াও পিটাইয়া, টিহায়া ইত্যাদিও নামে ডাকা হয়। ড্রাগন ফল গাছে শুধুমাত্র রাতে ফুল দেয়। ফুল লম্বাটে সাদা ও হলুদ, অনেকটা ‘নাইট কুইন’ ফুলের মত। এ কারণে ড্রাগন ফুলকে ‘রাতের রাণি’ নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। ড্রাগন ফলের গাছ লতানো ইউফোরবিয়া গোত্রের ক্যাকটাসের মত কিন্তু এর কোন পাতা নেই। ফুল স্বপরাগায়িত; তবে মাছি, মৌমাছি ও পোকা-মাকড় এর পরাগায়ন ত্বরান্বিত করে এবং কৃত্রিম পরাগায়নও করা যেতে পারে।

জলবায়ু ও মাটিঃ
এ ফলটির জন্য শুষ্ক ট্রপিক্যাল জলবায়ু প্রয়োজন। মধ্যম বৃষ্টিপাত এ ফলের জন্য ভালো। উপযুক্ত বৃষ্টিপাত ৬০০-১৩০০ মি.মি. ও তাপমাত্রা ৩৮-৪০ড় সে। অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে ফুল ঝরে পরে এবং ফলের পঁচন দেখা দেয়। প্রায় সব ধরনের মাটিতেই ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। তবে পানি জমে না এমন উঁচু জমিতে এ ফলটি চাষ করা ভাল। উচ্চ জৈব পদার্থ সমৃদ্ধ বেলে-দোঁয়াশ মাটিই এ ফল চাষের জন্য উত্তম ড্রাগন ফল প্রচুর আলো পছন্দ করে।

জাতঃ
বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সফলভাবে চাষ করার জন্য
বাউ ড্রাগন ফল -১ (সাদা)
বাউ ড্রাগন ফল -২ (লাল)
নির্বাচন করা যেতে পারে। এছাড়া হলুদ ড্রাগন ফল, কালচে লাল ড্রাগন ফল চাষ করা যেতে পারে    

রোপন ও সার ব্যবস্থাপনাঃ
জমি ভালভাবে চাষ করে গাছ থেকে গাছের দুরত্ব ৩ মি. এবং সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩মি. দিয়ে হেঙাগোনাল পদ্ধতি ব্যবহার করে এ গাছ লাগানো উত্তম। তবে অবস্থা ভেদে দূরত্ব কম বা বেশি দেওয়া যেতে পারে। ড্রাগন  ফলের চারা রোপনের জন্য ২০-৩০ দিন আগে প্রতি গত্যে ৪০ কেজি পচা গোবর, ৫০গ্রাম ইউরিয়া, টিএসপি ও এমপি ১০০ গ্রাম করে এবঙ জিমসাম, বোরাঙ ও জিঙ্ক সালফেট ১০ গ্রাম করে দিয়ে, গর্তের মাটি উপরে-নীচে ভালোভাবে মিশিয়ে রেখে দিতে হবে। সার দেওয়ার ২০-৩০ দিন পরে গাছ লাগানো যাবে। এরপর প্রতি বছরে প্রতি গাছের জন্য ৪০ কেজি পচা গোবর ঠিক রেখে ইউরিয়া ৫০গ্রাম, টিএসপি ও এমটি ১০০ গ্রাম এবঙ জিমসাম, বোরাঙ ও জিঙ্ক সালফেট ১০ গ্রাম করে বৃদ্ধিহারে প্রয়োগ করতে হবে। ক্যাকটাস গোত্রের গাছ বিধায় বছরের যে কোন সময়ই লাগানো যায় তবে এপ্রিল-সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে লাগানো ভাল। কাটিংকৃত কলম প্রতি গর্তে ৪-৫ টি করে লাগানো হয়। এক্ষেতের যদি ভিয়েতনাম পদ্ধতি অনুসরন করা হয় তাহলে পিলারের চারদিকে কাটিংকৃত কলম চারা লাগিয়ে পিলারের সাথে বেঁধে দেওয়া হয়। কিন্তু যদি থাইল্যান্ড ও ফোরিডা পদ্ধতি অনুসরন করা হয় তাহলে গর্তে সোজা করে ৪-৫ টি কলম চারা রোপন করা হয়। এ গাছ ১.৫-২.৫ মিটার লম্বা হয়। এজন্য এ গাছকে উপরের দিকে ধরে রাখার জন্য সিমেন্টে/বাঁশের খুঁটির সাথে উপরের দিকে তুলে দেওয়া হয় (ভিয়েতনাম সিস্টেম)। এছাড়া উপরের দিকে ছোট মোটর গাড়ীর (মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার) চাকা বাঁশের চ্যাগারের মধ্যে সেট করে খুব সহজেই এ গাছের শাখা গুলোকে বাড়তে দেওয়া যায়। (শ্রীলঙ্কা সিস্টেম) । থাইল্যান্ড ও ফোরিডাতে দুই পাশে দুটি খুঁটি পুতে মোটা তারের উপরে জাংলার মত তৈরী করে গাছ জাংলায় তুলে চাষ করা হয় (ফোরিডা সিস্টেম)।

বংশ বিস্তারঃ
এ ফলের বংশ বিস্তার অত্যান্ত সহজ। বীজ দিয়েও বংশ বিস্তার করা যেতে পারে। তবে এতে ফল ধরতে একটু বেশি সময় লাগে। তবে হুবহু মাতৃ বৈশিষ্ট্য বজায় থাকে না।  সেজন্য কাটিং এর মাধ্যমে বংশ বিস্তার করাই উত্তম। কাটিং এর সফলতার হার প্রায় শতভাগ এবং ফলও তাড়াতাড়ি ধরে। কাটিং থেকে উৎপাদিত একটি গাছে ফল ধরতে ১২-১৮ মাস সময় লাগে। সাধরণত বয়স্ক এবং শক্ত শাখা কেটে (১-১.৫ ফুট) হালকা ছায়াতে বেলে দোঁআশ মাটিতে গোড়ার দিকের কাটা অংশ পুতে সহজেই চারা উৎপাদন করা যায়। ২০ থেকে ৩০ দিন পরে কাটিং এর গোড়া থেকে  শিকর বেরিয়ে আসবে। তখন এটা মাঠে লাগানোর উপযুক্ত হবে। তবে উপযুক্ত পরিবেশ ও প্রয়োজন অনুযায়ী কাটিংকৃত কলম সরাসরি মূল জমিতে লাগানো যায়।

প্রুনিং ও ট্রেনিং
ড্রাগন ফল দ্রুত বৃদ্ধি পায় এবং মোটা শাখা (ডগা) তৈরী করে। একটি এক বছরের গাছ ৩০ টি পর্যন্ত শাখা তৈরী করতে পারে এবং ৪ বছর বয়সী একটি ড্রাগন ফলের গাছ ১৩০ টি পর্যন্ত প্রশাখা তৈরী করতে পারে। তবে শাখা-প্রশাখা উৎপাদন উপযুক্ত ট্রেনিং ও ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে। একটি গবেষনায় দেখা গেছে যে, বাংলাদেশের প্রোপটে ১২-১৮ মাস পর একটি গাছ ফল ধারণ করে। ফল সংগ্রহের পর ৪০-৫০টি প্রধান শাখাঃয় প্রত্যেকটিতে ১/২টি সেকেন্ডরী শাখা অনুমোদন করা হয়। তবে এ ক্ষেতের টারসিয়ারী ও কোর্য়াটরনারী প্রশাখা কে অনুমোদন করা হয় না । ট্রেনিং এবং প্রুনিং এর কার্যক্রম দিনের মধ্য ভাগে করাই ভালো। ট্রেনিং ও প্রুনিং করার পর অবশ্যই যে কোন ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে। অন্যথায় বিভিন্ন প্রকার রোগ বালাই আক্রমন করতে পারে।

গাছ লাগানোর পর থেকে ফল ধারন পর্যায় পযর্ন্ত ড্রাগন
ফলের প্রুনিং ও ট্রেনিং এর কৌশল

সেচঃ
ড্রাগন ফলে পানি খুব কম লাগে। শুষ্ক মৌসুমে অবশ্যই সেচ ও বর্ষা মৌসুমে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর দুই সারির মাঝখানে ৫০-১০০ সে.মি. আকারে  নালা তৈরী করা যেতেহ পারে। এতে করে নালায় ১/২ দিন পানি জমা রেখে গাছের মাটিতে রস সরবরাহ করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে যে, এই গাছ অতিরিক্ত পানি সহ্য করতে পারে না।

অসময় ফল উৎপাদনের কলাকৌশলঃ
বাউ জার্মপ্লাজম সেন্টারে পরীক্ষামূলক চাষে দেখা গেছে যে ফল আসা শুরু হয় জুন মাসে এবং নভেম্বর মাস পর্যন্ত সংগ্রহ করা যায়। ভিয়েতনামে শীত কালে দিবসের দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে প্রতি চার টি গাছের জন্য একটি করে ৬০/১২০ ওয়াটের বাল্ব সন্ধ্যা থেকে ৫-৬ ঘন্টা জ্বালিয়ে রেখে ফল আনা হচ্ছে। এতে সুবিধা হচ্ছে যে, চাহিদা মোতাবেক সময়ে ফল নেওয়া যায়।

রোগ বালাই ও পোকা মাকড়ঃ
এ ফলে রোগ বালাই খুবই একটা চোখে পড়ে না। তবে কখনো কখনো এ ফল গাছে মূলপচা, কান্ড ও গোড়া পঁচা রোগ দেখা যায়।

মূল পঁচাঃ
গোড়ায় অতিরিক্ত পানি জমে গেলে মূল পচে যায়। এ রোগ হলে মাটির ভিতরে গাছের মূল একটি দুটি করে পঁচতে গাছের সমস্ত মূল পঁচে যায়। গাছকে উপরের দিকে টান দিলে মূল ছাড়া শুধু কান্ড উঠে আসে। তবে এ থেকে পরিত্রান পেতে হলে উঁচু জমিতে এ ফলের চাষ করা ভাল। এ রোগটি 
<!--[endif]--> Fusarium sp দ্বারা সংঘটিত হয়।

কান্ড ও গোড়া পঁচা রোগঃ
ছত্রাক অথবা ব্যাকটিরিয়া দ্বারা এ রোগ হতে পারে। এ রোগ হলে গাছের কান্ডে প্রথমে হলুদ রং এবং পরে কালো রং ধারণ করে এবং পরবতীতে ঐ অংশে পচন শুরু হয় এবং পঁচার পরিমান বাড়তে থাকে। এ রোগ দমনের জন্য যে কোন ছত্রাকনাশক (বেভিস্টিন, রিডোমিল, থিওভিট ইত্যাদি)  ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে প্রয়োগ করে সহজেই দমন করা যায়।
পোকা-মাকড়ঃ
ড্রাগন ফলের জন্য তিকর পোকা-মাকড় খুব একটা চোখে পড়ে না, তবে মাঝে মাঝে এফিড ও মিলি বাগের আক্রমণ দেখা যায়। এফিডের বাচ্চা ও পূর্ণ বয়স্ক পোকা গাছের কচি শাখা ও পাতার রস চুষে খায়, ফলে আক্রান্ত গাছের কচি শাখা ও ডগার রং ফ্যাকাশে হয়ে যায় ও গাছ দূর্বল হয়ে পড়ে। এ পোকা ডগার উপর আঠালো রসের মতো মল ত্যাগ করে ফলে শুটিমোল্ড নামক কালো ছত্রাক রোগের সৃষ্টি হয়।  এতে গাছের খাদ্য তৈরি ব্যহত হয়। এতে ফুল ও ফল ধারন কমে যায়। এ পোকা দমনে সুমিথিয়ন/ডেসিস/ম্যালাথিয়ন ইত্যাদি কীটনাশক প্রতি ১০ লিটার পানিতে ২৫ মি.লি./৫ক্যাপ ভালভাবে মিশিয়ে স্প্রে করে সহজেই এ রোগ দমন করা যায়।

ফলনঃ
১২-১৮ বছর বয়সের একটি গাছে ৫-২০টি ফল পাওয়া যায় কিন্তু পূর্ণ বয়স্ক একটি গাছে ২৫-১০০টি পর্যন্ত ফল পাওয়া যায় । হেক্টর প্রতি  ফলন ২০-২৫ টন।

No comments:

Post a Comment